বিক্ষোভের দিনগুলিতে প্রেম
পরিচিতি
শওকত রাজনীতি বোঝে না। সে গ্রামের ছেলে। অত্যন্ত মেধাবী। বুয়েটের পরীক্ষায় সে বেশ ভালো করে। পাস করে বুয়েটেরই শিক্ষক হবে। সেই শওকতেরও শরীরে ও মনে একটা ব্যথা আছে- অসাস্প্রদায়িক শিক্ষানীতির দাবিতে ১৯৮৩ সালের মধ্য ফেব্রুয়ারিতে ছাত্ররা যখন আন্দোলন করছিল, তখন এরশাদ সরকারের পুলিশ তার পা ভেঙে দিয়েছে। মাকসুদার রাহমান কবি হতে চায়। তার কবিতার প্রেরণা আর্কিটেকচারের মেয়ে মৌটুসি। প্রেমের কবিতা লিখতে লিখতে সে-ও যুক্ত হয় এরশাদবিরোধী আন্দোলনে। ন্যাভাল আর্কিটেকচারের আবীর পত্রমিতালির সূত্র ধরে প্রেম করে শানুর সঙ্গে, হলের রুমেই একদিন আবীর আবিষ্কার করে শানুর পেটে সিজারিয়ানের দাগ।
শহীদ হন রাউফুন বসুনিয়া। বুকে-পিঠে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ লিখে বুকের রক্তে রাজপথে গণতন্তের দাবি লেখেন নূর হোসেন।
কবিতা ও কৃষ্ণচূড়া ভালোবসেতেন যে ডাক্তার মিলন, আড়াই বছরের মেয়ে শামাকে রেখে যান আন্দোলনে, আর ফিরে আসেন না।
আলাদা আলাদা মানুষ, কিন্তু সবাই মিলেছে রাজপথে, ১৯৯০ সালের ডিসেম্বরে, স্বৈরাচারবিরোধী গণ-অভ্যুত্থানের দিনগুলোয়।