বইয়ের নাম:
"মিঞা অসমিয়া এনআরসি : আসামে জাতিবাদী বিদ্বেষ ও বাংলাদেশ "
লেখক:
ISBN:
9789849436140
প্রকাশকাল:
জানুয়ারি ২০২০
পৃষ্ঠা:
211
ভাষা:
বাংলা
প্রচ্ছদ:
মাসুক হেলাল
বাঁধাই:
হার্ড কভার
প্রকাশনী:
"মিঞা অসমিয়া এনআরসি : আসামে জাতিবাদী বিদ্বেষ ও বাংলাদেশ "
পরিচিতি
দশকের পর দশক আসামে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশিদের সম্পর্কে বিরূপ ধারণা প্রচার করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, আসামে লাখ লাখ ‘বাংলাদেশি’র অনুপ্রবেশ ঘটেছে। ইতিহাসের সত্য ও মাঠপর্যায়ের তথ্যের আলোকে এ অভিযোগের সত্যাসত্য যাচাইয়ের চেষ্টা করা হয়েছে বইটিতে। আসামে ‘বিদেশি খেদাও’ আন্দোলনের প্রকৃত কারণ, পটভূমি এবং তার রাজনৈতিক অর্থনীতি সম্পর্কে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো একটি গবেষণাধর্মী গ্রন্থ প্রকাশিত হলো।
আরাকানের রোহিঙ্গা উদ্বাস্ত্ত সমস্যার মতো প্রতিবেশী আসামের পরিস্থিতিও বর্তমানে বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিহাসে দীর্ঘ সময় বাংলা ও আসাম এক প্রদেশ হিসেবে থাকলেও চার দশক ধরে আসামে বাংলাদেশ সম্পর্কে বিরূপ ধারণা প্রচার করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, আসামে লাখ লাখ ‘বাংলাদেশি’ অনুপ্রবেশ করেছে। আর তাতে সেখানকার জনমিতি পাল্টে যাচ্ছে। সৃষ্টি হচ্ছে নিরাপত্তা-হুমকির। এভাবে দশকের পর দশক সযত্ন প্রচেষ্টায় অসমিয়া ও সর্বভারতীয় রাজনৈতিক সাহিত্যে ‘বাংলাদেশি অভিবাসন’-এর যে তত্ত্ব বা কাহিনি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তাঁর সত্যাসত্য খতিয়ে দেখেছেন লেখক তাঁর এই গ্রন্েথ। বাংলা ও আসামের ইতিহাসচর্চা ও পরিচয়ের রাজনীতির সীমাবদ্ধতা তুলে ধরতে গিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদীর ঐতিহাসিক ভূমিকার ওপরও আলোকপাত করা হয়েছে। রাজ্য হিসেবে দরিদ্র হলেও কেন উন্নয়ন প্রশ্নটি আজও আসামের রাজনীতির প্রধান বিষয় হয়ে ওঠেনি, প্রতিবেশী হলেও কেন আসাম-বাংলাদেশ সম্পর্ক বিকশিত হতে পারেনি, প্রসঙ্গক্রমে সেসব বিষয়ও আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে। সাম্প্রতিক কালে আসামে ‘নাগরিক পঞ্জি’ তৈরির প্রক্রিয়ার আইনি পর্যালোচনার পাশাপাশি এর মাধ্যমে কীভাবে ভাষাগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মানবাধিকারের লঙ্ঘন ঘটছে, তার সরেজমিন চিত্র উঠে এসেছে লেখকের অনুসন্ধানে। আসামে ‘বিদেশি খেদাও’ আন্দোলনের প্রকৃত কারণ, পটভূমি এবং তার রাজনৈতিক অর্থনীতি সম্পর্কে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো একটি গবেষণাধর্মী গ্রন্থ প্রকাশিত হলো।