বইয়ের নাম:
"রক্তে আঁকা ভোর মুক্তিযুদ্ধের সত্য ইতিহাস গল্পের মধ্য দিয়ে জানার জন্য এই উপন্যাস।"
ক্যাটাগরি:
লেখক:
ISBN:
9789849583509
প্রকাশকাল:
সেপ্টেম্বর ২০২১
পৃষ্ঠা:
584
ভাষা:
বাংলা
প্রচ্ছদ:
সব্যসাচী হাজরা
বাঁধাই:
হার্ড কভার
প্রকাশনী:
"রক্তে আঁকা ভোর মুক্তিযুদ্ধের সত্য ইতিহাস গল্পের মধ্য দিয়ে জানার জন্য এই উপন্যাস।"
পরিচিতি
মুজিব বললেন, ‘তুমি যা বলবা, তা-ই হবে। আমি কি আর বঙ্গভবনের মতো প্রাচীরঘেরা বাড়িতে উঠতে পারি! আমি জনগণের নেতা। আমাকে জনগণের মধ্যেই থাকতে হবে। দেশটা একটু ঠিক হোক, পরিস্থিতি ভালো হোক, দ্যাখো আমি টুঙ্গিপাড়ায় চলে যাব। সেখানে বাইগার নদীতে মাছ ধরে সময় কাটাব। কিন্তু তার আগে যে অনেক কাজ!’
১ম ফ্লাপ
পাকিস্তানি সৈন্যরা বন্দী করে নিয়ে যাচ্ছে শেখ মুজিবকে। নিয়ে যাচ্ছে অজানার উদ্দেশে। ৩২ নম্বরের বাড়ি থেকে দেয়াল টপকে বেগম মুজিব আশ্রয় নিয়েছেন পাশের বাড়িতে। হত্যাকাণ্ড চলেছে বাংলাজুড়ে। প্রতিরোধ গড়ে তুলছে বাঙালি সৈন্য, পুলিশ, ইপিআর, আনসার আর ছাত্রজনতা। শেখ মুজিবকে নেওয়া হলো পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে, গোপন সামরিক আদালতে তাঁর মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার আয়োজন চলছে। সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে গঠিত হলো প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার। লাখ লাখ মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিল ভারতের মাটিতে। মুক্তিবাহিনী গঠিত হলো। মুজিবনগর সরকারের বিরুদ্ধে চলছে নানা ষড়যন্ত্র। এরই মধ্যে মুক্তিযোদ্ধারা সারা দেশে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নাভিশ্বাস তুলে ফেলেছে। পারমাণবিক অস্ত্রবাহী মার্কিন সপ্তম নৌবহর রওনা হয়েছে বঙ্গোপসাগরের দিকে। মুক্তিবাহিনী মিত্রবাহিনী এগিয়ে চলেছে ঢাকা অভিমুখে। বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ও যুদ্ধ এক অনিঃশেষ মহাকাব্য। আনিসুল হকের উপন্যাসধারা যারা ভোর এনেছিল-এর ষষ্ঠ ও শেষ পর্ব রক্তে আঁকা ভোর সেই মহাকাব্যিক বিশালতা ধরার প্রয়াস।