বইয়ের নাম:
স্বৈরাচারের দশ বছর: আইয়ুবি শাসনের চালচিত্র ১৯৫৮-১৯৬৯"
ক্যাটাগরি:
লেখক:
ISBN:
9789848765456
প্রকাশকাল:
অক্টোবর ২০২০
পৃষ্ঠা:
310
ভাষা:
বাংলা
প্রচ্ছদ:
মাসুক হেলাল
বাঁধাই:
হার্ড কভার
প্রকাশনী:
স্বৈরাচারের দশ বছর: আইয়ুবি শাসনের চালচিত্র ১৯৫৮-১৯৬৯"
পরিচিতি
আতাউর রহমান খান তাঁর স্বৈরাচারের দশ বছর বইয়ে এ দেশের মানুষের ওপর স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের দীর্ঘ এক দশকব্যাপী শাসন-নিপীড়নের স্বরূপ তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে দেশবাসীর প্রতিবাদ-প্রতিরোধের বিবরণও আছে বইটিতে। লেখকের রচনাগুণে দুঃসহ সেই কালটি জীবন্ত হয়ে উঠেছে এ বইয়ে। দেশের ইতিহাস সম্পর্কে আগ্রহী পাঠকের জন্য বইটি অবশ্যপাঠ্য।
১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর পর্যন্ত আতাউর রহমান খান তৎকালীন পূর্ববঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তারপরই দেশে সামরিক শাসন জারি ও আইয়ুবি স্বৈরশাসন কায়েম হয়। চলে একটানা প্রায় দশ বছর। সামরিক শাসনের অবসান ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৬২ সালে একটি সর্বদলীয় রাজনৈতিক জোট ‘এনডিএফ’ গঠিত হয়। ছাত্ররাও এ সময় রাজপথে নেমে আসে। ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে সরকার শিক্ষানীতি বাতিল ও সোহরাওয়ার্দীকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ১৯৬৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিরোধী দলগুলো ফাতেমা জিন্নাহকে প্রার্থী করে সারা দেশে প্রচার চালায়। কিন্তু আইয়ুব ছলে-বলে-কৌশলে নির্বাচনী ফলাফলকে নিজের পক্ষে নিয়ে যান। একদিকে উন্নয়নের নামে বৈষম্য বৃদ্ধি, অন্যদিকে ১৯৬৫ সালের পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধে পূর্ব বাংলার অরক্ষিত অবস্থা বাঙালিদের মনে স্বায়ত্তশাসনের জন্য আকাঙ্ক্ষা তীব্রতর করে তোলে। সরকার আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা শুরু করে সে আকাঙ্ক্ষাকে পিষে মারতে চায়, কিন্তু সফল হয় না। ছাত্রদের নেতৃত্বে সৃষ্ট ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের মুখে শেষ পর্যন্ত আইয়ুব খানকে বিদায় নিতে হয়। ক্ষমতা যায় আরেক সেনাশাসক ইয়াহিয়া খানের হাতে। আতাউর রহমান খানের স্বৈরাচারের দশ বছর বইটি আমাদের ইতিহাসের সেই স্বৈরাচার-পীড়িত দুঃসহ কালটিরই বিবরণী, লেখকের সরস অন্তরঙ্গ বর্ণনা যাকে সুখপাঠ্য করে তুলেছে।